বাজাজের পালসার সিরিজে বেশ কয়েকটি মডেল আছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল ১৫০। কিন্তু ভারতে জনপ্রিয় মডেল ডমিনার সিরিজ। এই সিরিজের আসছে ২৫০ সিসির নতুন বাইক। মডেল ডমিনার ২৫০। মডেলটি স্পোর্টস বাইকের তকমা পেয়েছে। কেননা, এর দুর্দান্ত গ্রাফিক্স এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন একে অনন্যতা দিয়েছে।
শিগগিরই ভারতের বাজারে আসছে ডমিনার ২৫০ সিসির বাইক। এটি একটি ট্যুরিং বাইক। এর আগে আত্মপ্রকাশ করেছিল এনএস ২০০ এবং এনএস ১৬০। বাজাজের এই দুইটি মডেলই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। এবার তারা আনছে ডমিনার ২৫০। ইতিমধ্যেই তার ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা ঝড় তুলেছে বাইকপ্রেমীদের হৃদয়ে।
ইতিমধ্যেই ডিলারদের শোরুমে নতুন মডেলের বাইকটি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গেছে, আগের সাদা এবং সিলভার ইউনিটগুলোর পরিবর্তে এই নতুন মডেল বাজারে আনতে চলেছে বাজাজ। তবে দাম একই থাকছে। বর্তমানে বাজাজ ডমিনার ২৫০ ভারতের দাম ১.৬৪ লাখ রুপি।
বাজারের ডমিনার ৪০০ এর ছোটভাই ডমিনার ২৫০। মজা করে এমনই বলেন বাইকপ্রেমীরা। তবে দুটিরই বডি ওয়ার্ক এবং স্টাইলিং একই রকমের। সঙ্গে ডমিনার ২৫০ এ রয়েছে ফুল এলইডি হেডল্যাম্প, ডিজিটাল কনসোল, ম্যাট ব্ল্যাক ফিনিশ অ্যালয় হুইল। সঙ্গে ১৩ লিটারের একটি ফুয়েল ট্যাঙ্কও দেওয়া হয়েছে। বাইকের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে এর ফুল এলইডি লাইটিং সিস্টেম এবং ফুয়েল ট্যাঙ্কে ডিসপ্লেসহ একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। মোটরসাইকেল ভ্রমণকে বন্ধুত্বপূর্ণ করতে, একটি আরামদায়ক রাইডিং স্ট্যান্স এবং সিটের নিচে ছোট স্ট্র্যাপ-টু-হুক ট্যুরিং লাগেজ যোগ করা হয়েছে।
এই মডেলকে একদম আধুনিক উন্নত ডিজাইনে ঢেলে সাজানো হয়েছে। নজর দেওয়া হয়েছে ডিটেলিংয়ে। রয়েছে নিখুঁত ফিনিশিং টাচ। আগের তুলনায় এই বাইক দেখতে আরও মডার্ন হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাইকের বাজারে দ্রুত এই বাইক জনপ্রিয়তা পাবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। নজরে পড়ার মতো যেসব ফিচার যুক্ত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল কিছু ট্যুরিং ফ্রেন্ডলি অ্যাক্সেসরিজ।
লম্বা উইন্ডস্ক্রিন, মেটাল ব্রাশ প্লেট, স্মার্টফোন চার্জিং পোর্ট, রিয়ার লাগেজ ক্যারিয়ার, শক্ত ক্র্যাশ গার্ড, স্যাডেল স্টে (স্ট্যান্ডার্ড নয়), পিলিয়ন ব্যাকরেস্ট, এবং নেভিগেশন স্টে। যা চালক অনন্য অনুভূতি দেবে বলে দাবি কোম্পানির।
তবে এই ডুয়েল টোন এডিশনে কোনও যান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয়নি। এতে ২৪৮.৮ সিসি একক-সিলিন্ডার, ডিওএইচসি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি ৮,৫০০ আরপিএম-এ ২৬.৬ বিএইচপি এবং ৬,৫০০ আরপিএম-এ ২৩.৫ এনএম পিক টর্ক জেনারেট করে৷ কোম্পানির দাবি যে এই বাইকটি মাত্র ১০.৫ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতি তুলতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় বাইকটি দৌড়তে পারে ১৩২ কিমি গতিবেগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন