বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২

জলে-স্থলে চলবে বাবা-ছেলের তৈরি গাড়ি

 


২০২০-২০২১ সালের বেশিরভাগ সময় আমাদের কেটেছে লকডাউনে ঘরে বসে। এই সময়টাতে সবাই ঘরে থেকে বিরক্ত হয়েছেন। তবে কেউ কেউ এই অফুরন্ত অবসরকে কাজে লাগিয়েছেন বিভিন্নভাবে। যুক্তরাজ্যেরের বাসিন্দা এক বাবা তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন এক আজব গাড়ি।

যেটি একই সঙ্গে চলবে ডাঙায়, আবার জলেও। অর্থাৎ পিচঢালা রাস্তায় দ্রুত গতিতে ছোটানোর পাশাপাশি এই গাড়ি নিয়ে আপনি যে কোনো সময় জল সফরেও যেতে পারবেন। এক বাবা-ছেলের জুটি একটি ফোর্ড ফিয়েস্টা গাড়ির খোলনলচে বদলে এমনটাই রূপ দিয়েছেন।

সম্প্রতি ইউটিউবে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি সেভেন্থ জেনারেশন ফোর্ড ফিয়েস্টা গাড়িকে একদম নতুন লুক দেওয়া হয়েছে। উভচর প্রাণী অর্থাৎ যারা জলে, স্থলে দু’জায়গাতেই বাস করতে পারে, তাদের মতোই এই গাড়িও জল-স্থল, দু’জায়গাতেই চলতে পারে। একটি নৌকার বিভিন্ন ফিচারও এখন রয়েছে ওই ফোর্ড ফিয়েস্টা গাড়ির মডেলে। এই গাড়ি তৈরি হয়েছে ইউনাইটেড কিংডমে।

গাড়ির উপরের অংশে ডিজাইন একই রকম রয়েছে। সেভেন্থ জেনারেশন ফোর্ড ফিয়েস্টা দেখতে যেমন হয়, গাড়ির উপরের অংশ সেই রকমই দেখতে। তবে বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে গাড়ির নিচের ভাগে। গাড়ির নিচের অংশ দেখতে অনেকটা নৌকার মতো। ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি হয়েছে এই নৌকার মতো অংশটুকু। আর টায়ার নির্মাণ করা হয়েছে স্টক ফিয়েস্টা অ্যালয় দিয়ে।

শুধু গাড়ির ডিজাইনে নয়, প্রযুক্তিগতভাবেও কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে এই গাড়িতে। গাড়ির পিছনের সিটের পিছনের অংশে রাখা গিয়েছে ইঞ্জিন। আগের থেকে পরিবর্তন হয়েছে ইঞ্জিনের জায়গার। আর এগজস্ট অর্থাৎ ধোঁয়া বেরনোর অংশটি উপরের দিকে তুলে আনা হয়েছে।

হুইলবেসের আয়তন বাড়ানো হয়েছে এবং মাঝে একটা ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে গাড়ির ছাদ। ফলে আপনি রাস্তায় থাকুন কিংবা পানিতে, এই গাড়িতে বসলেই খোলা আকাশ দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে পাবেন অফুরন্ত বাতাস।

পানির মধ্যে চলার জন্য এই আধুনিক গাড়িতে রয়েছে প্রপেলার। একটি ট্রান্সফার কেসের সাহায্যে এই প্রপেলারের মধ্যে শক্তি সঞ্চালিত হয়। প্রপেলার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রয়েছে প্যাডেল। এছাড়াও স্টিয়ারিং হুইল অনুযায়ী ডানদিক এবং বাম দিকে ঘোরানো হবে রাডার্স। পানিতে এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার।

এই আজব গাড়ির ভিডিও রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশংসায় ভাসছেন বাবা-ছেলে জুটি। অনেকেই তাদের পুরনো গাড়ি এভাবে পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন তাদের।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন