বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২

প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি দিয়েই বাজিমাত টাটার

 


বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাটা এসেছে বছর দুই আগেই। টাটা নেক্সন ইভি (Tata Nexon EV) নিয়েই টাটার বৈদ্যুতিক গাড়ি জগতে প্রবেশ। সেই গাড়ি দিয়েই নজির গড়লো প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতের বাজারে ২০২০ সালে টাটা নেক্সন ইভির যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে দেশের সর্বাধিক বিক্রিত যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক ভেহিকেলের মুকুট উঠেছে টাটা নেক্সনের এই ব্যাটারিচালিত ভার্সনের মাথায়। এবার ১৩ হাজার ৫০০-এর বেশি নেক্সন ইভি বিক্রি হয়েছে।

বিক্রির নতুন মাইলস্টোন গড়ার খবরটি টুইট মারফত জানিয়েছে টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি লিমিটেড। সেই সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি ক্রেতাকে ইলেকট্রিফাইং সফরের অংশ এবং ইভি বিপ্লবে শামিল হওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে তারা।

গত বছরের এপ্রিলে চার হাজার টাটা নেক্সন ইভি বিক্রি হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। এরপর গত ১০ মাসে ৯ হাজার ৫০০-এর বেশি নেক্সন ইভি বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটি। এর কৃতিত্ব খানিকটা অবশ্য জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী দামকেও দেওয়া যায়।

একদিকে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে আধুনিকতা, সব মিলিয়ে বৈদ্যুতিক যানের চাহিদা বেড়েই চলছে। তাইতো ভবিষ্যতে প্রযুক্তি বাজারে নিজেদের অবস্থান যেন নড়বড়ে না হয়, সে জন্য সবাই ঝুঁকছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের দিকে।

ভারতীয় বাজারে মডেল অনুযায়ী, নেক্সন ইভির দাম বর্তমানে ১৪ লাখ ২৯ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এটি একটা পার্মানেন্ট ম্যাগনেট এসি মোটর এবং ৩০.২ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থেকে শক্তি সংগ্রহ করে।

ইলেকট্রিক মোটরটির আউটপুট ১২৭ বিএইচপি ও ২৪৫ এনএম৷ নেক্সন ইভি ৯.৯ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ তুলতে পারে। ঘন্টা প্রতি সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার।

টাটা নেক্সন ইভি আইপি৬৭ রেটেড ওয়াটারপ্রুফ ব্যাটারি প্যাকের সঙ্গে বাজারে এসেছিল। টাটা গাড়িটির সঙ্গে রয়েছে ৩.৩ কিলোওয়াট অনবোর্ড চার্জার, যা ৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যাটারি ফুল চার্জ করতে সক্ষম। আবার ২৫ কিলোওয়াট ডিসি ফাস্ট চার্জার দিয়ে এক ঘন্টায় ৮০ শতাংশ চার্জ করা যায়। একচার্জে পাড়ি দেওয়া যায় ৩১২ কিলোমিটার পথ।

সিগনেচার টিল ব্লু, গ্লেসিয়ার হোয়াইট, এবং মুনলাইট সিলভার এই তিনটি রঙের বিকল্পে নেক্সন ইভি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। আবার সম্প্রতি টাটা একটি ডার্ক এডিশন চালু করেছে। এতে গাড়িটি স্টাইলিশ মিডনাইট ব্ল্যাক শেডে পাওয়া যাবে।

গাড়িটির ফিচারগুলোর মধ্যে এলইডি ডিআরএল ও টেললাইট, ইলেকট্রিক সানরুফ, অটো ক্লাইমেট কন্ট্রোল, অটোমেটিক হেডল্যাম্প, ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম উল্লেখযোগ্য।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন